ভারতভূমি থেকে বলছি

দেশকালের সীমানা পেরিয়ে একদিন এই গোটা বিশ্বই হয়ে উঠুক গোটা একটাই ঘর। কবি বিশ্বজিতের কাব্যগ্রন্থটির যে দিকটা।
পাঠকদের হৃদয়গ্রাহী হয়ে উঠবে, তা হল তাঁর সহজসরল আন্তরিক উচ্চারণ। এই উচ্চারণে অহেতুক জটিলতা নেই, আছে এক প্রসন্ন | বৈঠকি মেজাজ। কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে সীমাবদ্ধ না থেকে, জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রকেই বিষয় হিসেবে বেছে নিয়েছেন কবি সারা কাব্যরাস্থ জুড়ে। এক অনায়াস দক্ষতায় দৃশ্যকল্প নির্মাণে, শব্দচয়নে সজাগ দৃষ্টি রেখে কখনও তিনি বলে ওঠেন, ‘পাশাপাশি থেকেছি এতকাল চেনা মুখে তবু অচেনার বিস্ময়।’ আধার কখনও তিনি বলেন, ‘তোমার ভালোবাসার সসপ্যানে/সেদ্ধ হতে হতে সুসিদ্ধ ডিমের মতো/সৃষ্টির বিস্তৃতি নিয়ে স্কুলে গেছি/ধারাপাত।’ কখনও আবার আপন শ্রেয়সী আর কবিতা যেন তাঁর কাছে একাকার হয়ে ওঠে। তিনি লেখেন, ‘প্রেম আর অপ্রেমে/গরের কবিতার ভাব হয়/ঈশ্বরীয় কবিতার সঙ্গে।’ এক শাসনহীন সময়ের পটে দাঁড়িয়ে তাঁর মনে পড়ে, ‘গুলি খেলতে খেলতে কতবার পাড়াতুতো জীবনদাদু গুলিগুলো পুকুরে ফেলেছে’। মনের বয়সে সর্বদা তরতাজা কবি কখনও লিখে ওঠেন, ‘মনের বয়স কমাতে কমাতে কমাতে/ধীরে ধীরে শূন্যে নিয়ে যাব/মিশে যাব শূন্যের সঙ্গে। চার ফর্মার এই বইটি কবিতাপ্রেমী পাঠকদের সঙ্গী হতে পারে নিঃসন্দেহে।